
নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশে বিদেশে বহলভাবে নিন্দিত-সমালোচিত সমূদ্র পথে মালয়েশিয়ায় মানবপাচারের শীর্ষ ও চিহ্নিত দালাল ও গড়ফাদারেরা দিব্যি প্রকাশ্যে, সহি-ছালামতে আছে। তাদের অনেকের বিরুদ্ধে একাধিক মানবপাচার মামলার ওয়ারেন্ট থাকলেও তারা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সুস্থ্য-স্বাভাবিক জীবন যাপন করছে।
গত মে মাসে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে ধড়-পাকড় শুরু করলে এবং জেলার কয়েকজন চিহ্নিত মানবপাচারকারী পুলিশের সাথে বন্ধুক যুদ্ধে নিহত হলে চিহ্নিত ও শীর্ষ এসব মানবপাচারকারীরা আত্মগোপনে চলে যায়। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ধড়-পাকড় শিথিল হলে গত রমজানের ঈদের পর থেকে শীর্ষ মানবপাচারকারীরা আত্মগোপন থেকে প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। বর্তমানে এসব মানবপাচারকারী শীর্ষ দালাল ও গড়ফাদারেরা অন্য দশজন সাধারণ মানুষের মত নির্বিঘ্নে জীবন যাপন করছে।
এসব দালাল ও ।বেশিভাগই দিন মজুর থেকে হঠাৎ করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার মত নব্য কোটিপতি হয়ে বাড়ী-গাড়ী সহ নামে বেনামে বহু অর্থ সম্পদের মালিক বনে গেছে। কক্সবাজারের শীর্ষ মানবপাচারকারী এক-দেড় ডজন মানবপাচার মামলার আসামী উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের সোনাইছড়ি গ্রামে মৃত ইউসুফ আলীর পুত্র রোস্তম আলীর বিরদ্ধে দেড় ডজনের মত মানবপচার মামলার মধ্যে ২/১টি জামিনে থাকলেও প্রায় এক ডজন মামলায় ওয়ারেন্ট আছে। একই গ্রামের মৃত আমির হামজার পুত্র ছৈয়দ আলম ৩টি মামলায় ওয়ারেন্ট, মৃত রশিদ আহমদের পুত্র আব্দুল্লাহ আল মামুন শীর্ষ মানবপচারকরী হলেও একটি মাত্র মানবপাচার মামলা, তাও জামিনে, ইসলাম মিয়ার পূত্র শামশুলল আলম সোহাগ, হাজী নাজির হোছনের পূত্র উখিয়া থানার চিহ্নিত দালাল ছৈয়দ আলম ছৈইত্তা একমাত্র মামলার চার্জসীট থেকে থানায় দালালীর সুবাধে তদবীর করে বাদ পড়ে।
মৃত খলিলুর রহমানের পুত্র ফরিদ মাঝি একটি জামিনে একটি ওয়ারেন্ট, মৃত সুলতান আহমদের পুত্র মুজিবুল হক প্র: জিয়াউল হক একটি জামিনে ৩টিতে ওয়ারেন্ট, আলী হোছন ফকিরের পূত্র আলী আকবর ৩টি মামলায় ওয়ারেন্ট ও অপর পূত্র আব্দুল আলম মুন্সী একটিতে জেল ফেরত জামিনে, হাজী মোজাফ্ফর আহমদের পূত্র রাসেল মোস্তফা ৩টিতে জেল ফেরত জামিনে একটি ওয়ারেন্ট, মৃত হাছন আলীর পূত্র শাহ আলম একটিতে ওয়ারেন্ট, মৃত ফজল আহমদ মিয়াজীর পুত্র ছিদ্দিক আহমদ একটি মামলায় ওয়ারেন্ট থেকে বিদেশ প্রবাসে , স্থানীয় রোস্তম আলীর ভগ্নিপতি কুতুবদিয়ার কৈয়ারবিলের আবু ছৈয়দের পূত্র মাহমুদুল করিম মাদু ৩টি ওয়ারেন্ট, ছমি উদ্দীনের পূত্র জমির আহমদ একটিতে ওয়ারেন্ট, ফজল আহমদের পুত্র আক্তার মিয়া সম্প্রতি একটি জামিনে ২টি ওয়ারেন্ট, পূর্ব সোনার পাড়া গ্রামের আজু উল্লার পুত্র কায়সার হামিদ জনি সম্প্রতি একটি জামিনে ৩টি ওয়ারেন্ট, নুরুল কবিরের স্ত্রী রেজিয়া বেগম প্র: রেবি ম্যাডাম ২টি জামিনে ৭টি ওয়ারেন্ট, মৃত কালা মতুর পুত্র নুরুল কবির ২টি জামিনে ৬টি ওয়ারেন্ট , মীর আহমদের পুত্র ছৈয়দ আলম ছৈয়া একটি জামিনে একটি ওয়ারেন্ট, ছৈয়দ আলম ছৈয়ার স্ত্রী রোজিনা বেগম প্র: রোজী আপা একটি ওয়ারেন্ট, , ছৈয়দ কাছিমের ছেলে মোঃ ইউনুছ পুতিয়া ২টি মামলায় জামিন নিয়ে এখন মানবপাচার মামলায় দালালী করে,, সোনার পাড়া গ্রামের মৃত কাদির হোছনের পুত্র কালা জমির অর্ধ ডজন মামলায় জামিনে , শামশুল আলমের পূত্র জালাল উদ্দীন ৩টি মামলায় জামিনে’ ৫টি ওয়ারেন্ট, লম্বরী পাড়া গ্রামের মৃত ইসলাম মিয়ার পুত্র লাল বেলাল ২টি মামলায়ই চার্জসীট থেকে বাদ গেছে, জুম্মাপাড়া গ্রামের মকবুল আহদের পূত্র বেলাল আহমদ মেম্বার শীর্ষ ও চিহ্নিত মানবপাচারকারী দালাল হলেও তার বিরুদ্ধে কোন মামলা হয়নি, চেপটখালী গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের পুত্র ফয়েজ আহমদ ৩টি মামলায় জামিনে-১টি মামলায় চার্জসীট থেকে বাদ গেছে ও ৬টি ওয়ারেন্ট , মৃত কালা মিয়ার পুত্র আবুল কালাম ২টি মামলায় জামিনে-২টি মামলায় চার্জসীট থেকে বাদ গেছে ও ৫টি ওয়ারেন্ট সহ কক্সবাজার জেলার শীর্ষ ও চিহ্নিত দেড় শতাধিক মানবপাচারকারী দালাল ও গড়ফাদরেরা দিব্যি প্রকাশ্যে, সহি-ছালামতে আছে, সুস্থ্য-স্বাভাবিক জীবন যাপন করছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কতপয় অসাধু কর্মকর্তা ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা এবং থানার দালাদের আশ্রয়-পশ্রয়েই এসব মানবপাচারকারী শীর্ষ দালাল ও গড়ফাদরেরা ধরা-ছোয়ার বাইরে নির্বিঘ্নে থাকে।
পাঠকের মতামত